সারা দেশে সব ধরনের নৌ চলাচল শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে তিন দিন বন্ধ থাকার পর রোববার সকাল ৭টা ২০ মিনিট থেকে নৌযান চলাচল শুরু হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) পরিবহন পরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবির এ রোববার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সকাল ৭ টা ২০ মিনিটে ঢাকা সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় লঞ্চ সোনারতরী। এক নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকলেও তাতে নৌযান চলাচলে বাধা নেই।
ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে স্থলভাগে উঠে আসার পর শনিবার বাংলাদেশে প্রবেশ করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। এটি বাংলাদেশ উপকূলের ৯১৫ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে যাওয়ার পর আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম বন্দরে বিপদ সংকেত জারি করে। এরপর বৃহস্পতিবার বেলা সাড় ১১ টা থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথেও চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডাব্লিউটিএ।
ফণী দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে পরিণত হয় স্থল নিম্নচাপে। এরপর বিপদ সংকেত নামিয়ে সমুদ্র বন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়।
ভারতের উড়িষ্যায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী দেশের ৫৩ হাজার একর জমির ফসল নষ্ট করেছে। সেই সঙ্গে পুরোপুরি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩ হাজার ঘরবাড়ি।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কেন্দ্র বলেছে, ফণীর কারণে ৩৩০ একর জমির ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। আর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫২ হাজার ৭২৯ একর জমির ফসল। দুই ২,২৪৩টি বাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত ও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ১১ হাজার ১৭২টি বাড়ি।